সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি:
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বড় ভাইয়ের হাতে খুন হলেন ছোট ভাই কহেল উদ্দিন মুন্সী (৬০) । ঘটনাটি ঘটেছে, রবিবার বিকেল ৩ টর দিকে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের মধুরচর গ্রামে। তিনি পাঁচ সন্তানের জনক। খুন হওয়া কহেল উদ্দিন ঐ গ্রামের মৃত ইন্তাজ উদ্দিন মুন্সীর ছেলে। এঘটনায় নিহত কহেলের স্তী সাফিয়া ( ৪৫) ৷ ও সদ্য দেশে আসা কাতার প্রবাসী ছেলে শাহীনুর মুন্সি (২৫ ) গুরুতর আহত অবস্থায় সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুের সাথে পাঞ্জা লড়ছেন ।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে উপজেলার জামির্ত্তা গ্রামের মৃত ইন্তাজ উদ্দিন মুন্সীর বড় ছেলে ইসলাম উদ্দিন মুন্সী( ৬০) ও ছোট ছেলে কহেল উদ্দিন মুন্সীর মধ্যে বাড়ীর সীমানা প্রাচীর ও জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে মীমাংসার শর্তে উভয়ের মধ্যে স্থানীয় ভাবে একাধিকবার বিচার শালিসও হয়েছে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টির কোন সুরাহ না হওয়ায় কহেল উদ্দিন মুন্সী জমি উদ্ধারে কোটে একটি মামলা দায়ের করেন । দীর্ঘ দিন কোটে মামলা চলার পরে সম্প্রতি ঐ মামলায় কহেল উদ্দিন মুন্সী ডিগ্রি পান।
মামলায় হেরে যাওযায় বড় ভাই ইসলাম ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে, তার ছোট ভাই এরপরিবারকে হুমকি ধামকি দেন। নিহত কহেলের মেজু মেয়ে রুমি আক্তার বলেন এর আগেও আমার বাবাকে হত্যার উদ্দেশ্য হাতের আংগুলকেটে ফেলছিল, থানায় একটি জিডিও করা হয়েছিল। এবার আমার বাবার শেষ রক্ষা হলোনা। কয়েক দিন আগে আমার ছোট ভাই শাহীনুর প্রবাস হতে ছুটি নিয়ে দেশ চলে আসেন। ওর জন্য মেয়েও দেখতে ছিল বাবা । ভাইকে বিবাহ করানোর উদ্দেশ্য সে বাড়ীর পশ্চিম ও উত্তর পাশের আগাছা পরিস্কার করতেছিল। এসময় বড় চাচা ইসলাম ও তার স্ত্রী কুলছমা,পুত্র হৃদয় গংরা রামদা, শাবল দিয়ে প্রথমে বাবাকে মাথায় কোপ দেন এর পর বারান্দায় বসে থাকা মা কে কোপ দিলে ভাই ঘর থেকে বের হয়ে মা ও বাবা কে রক্ষার জন্য এগিয়ে আসলে তাকেও কুপিয়ে জখম করেন। স্থানীয়রা চিকিৎকারের শব্দ পেয়ে এগিয়ে আসেন।
তারা গুরত্বর জখম অবস্থায় উদ্বার করে ৷ প্রথমে সিংগাইর উপজেলা সরকারিহাসপাতালে নিয়ে যান, রোগীদের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে আহত সাফিয়া ও শাহীন কে ভর্তি করেন। বাবার অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে ভর্তি করান। গতকাল সোমবার ভোর ছয়টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত আরও দুই জনেরই অবস্থা সংকটাপন্নবলে পরিবারের লোকজন জানান। এখনও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি । আসামি পালাতক রয়েছেন। নিহতের পরিবারে চলছে কান্নার আহাজারি।
৭, ৮,৯ নং ওয়াডের ইউপি সদস্য মর্জিনা বলেন, স্থানীয় গন্যমান্য ও আমরা বসে মীমাংসা করে জমি মেপে খুঁটা গেড়ে সীমানা নির্ধারণ করে যায়। বাড়ী থেকে নামতে না নামতেই এরাই খুটি তুলে ফেলে। বিশ বছর ধরে এই অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। আজ এরেই জের ধরে ছোট ভাই ছোট ভাইকে হত্যা করেন বড় ভাই খবর পেয়ে সকালেই সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়ারুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।